প্রকাশিত: Tue, Jun 4, 2024 9:39 AM আপডেট: Sat, Dec 6, 2025 9:50 PM
[১]আগের বছরের তুলনায় বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমেছে: যুক্তরাষ্ট্র
খুররম জামান: [২] ঢাকার মার্কিন দূতাবাস সোমবার এক বিবৃতিতে ‘২০২৩ সালে মানবাধিকার চর্চার দেশভিত্তিক প্রতিবেদন: বাংলাদেশ’ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেছে।
[৩.১] মার্কিন দূতাবাস মার্কিন দূতাবাস বলেছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন হয়নি।
[৩.২] মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে ব্যাপক দায়মুক্তির অনেক খবর জানা গেছে । বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কর্মকর্তা বা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের চিহ্নিত করতে এবং শাস্তি দেওয়ার জন্য বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ নেয়নি।
[৪] আগের বছরের তুলনায় বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমেছে। স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)-এর দেয়া তথ্য মতে জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কথিত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে বা হেফাজতে থাকা অবস্থায় আটজন ব্যক্তি মারা গেছে।
[৫] সরকারি কর্তৃপক্ষ দ্বারা কিংবা তাদের পক্ষ থেকে গুম করার খবর পাওয়া গেছে । মানবাধিকার সংস্থাগুলো এবং গণমাধ্যমে গুম ও অপহরণের সংবাদ অব্যাহতভাবে প্রকাশিত হয়েছে, যা নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর দ্বারা সংঘটিত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। একটি স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থা দাবি করে যে জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে ৩২ জন ব্যক্তি বলপূর্বক গুমের শিকার হয়েছে।
[৬] একাধিক সংস্থার মতে নিরাপত্তা বাহিনীগুলো কথিত জঙ্গি এবং বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য নির্যাতন করেছিল।
[৭] কারাগারগুলোর অবস্থা ছিল ভয়াবহ এবং ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি বন্দি, অপর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা, শারীরিক নির্যাতনের কারণে কখনো কখনো জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ ছিল। কারাগারগুলোতে অপরাধীদের ক্ষোভ বা নালিশ জানানোর কোনও আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা ছিল না এবং কর্তৃপক্ষ খুব কমই দুর্ব্যবহারের বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগের তদন্ত পরিচালনা করে। বন্দিদের অভিযোগ গ্রহণ করার জন্য কারাগারে কোনও ন্যায়পাল ছিল না।
[৯] কর্তৃপক্ষ প্রায়ই আটক ব্যক্তিদের অবস্থান বা পরিস্থিতি তাদের পরিবার বা আইনজীবীর কাছে প্রকাশ করেনি কিংবা তাদেরকে গ্রেপ্তার করার বিষয়টিই অস্বীকার করেছে।
[১০] নির্বিচারে গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছিল। প্রায়শই এটা করা হয়েছে রাজনৈতিক বিক্ষোভ বা বক্তৃতার সাথে একত্রিতভাবে বা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ মোকাবিলায় নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে এবং সরকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই ব্যক্তিদের আটকে রেখেছিল, কখনো কখনো অন্যান্য সন্দেহভাজনদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করার জন্যও ব্যক্তিদের আটকে রাখা হয়েছিল।
[১০] আমলাতান্ত্রিক অদক্ষতা, সীমিত সম্পদ, শুনানিপূর্ব বিধিগুলো প্রয়োগে শিথিলতা এবং দুর্নীতির কারণে নির্বিচারে ও দীর্ঘসময় ধরে শুনানিপূর্ব আটকের ঘটনা অব্যাহত ছিল।
[১১] সংবিধানে স্বাধীন বিচার বিভাগের বিধান থাকলেও দুর্নীতি ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে আপস করেছে। সরকার সাধারণত বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিল না।
[১২] রাজনৈতিক বন্দি বা রাজনীতিকদের আটক থাকার কথা জানা যায়। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ হওয়ার অজুহাতে মিথ্যা অভিযোগসহ রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা প্রায়ই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সদস্যদের গ্রেপ্তার ও বিচারের কারণ হিসেবে দেখা হয়।
[১৩] সংবিধানে সংবাদপত্র এবং অন্যান্য গণমাধ্যমের সদস্যসহ সকলের মত প্রকাশের স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে; কিন্তু সরকার প্রায়ই এই অধিকার লঙ্ঘন করেছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সীমাবদ্ধতা ছিল। হয়রানি ও প্রতিশোধের ভয়ে গণমাধ্যমকর্মী ও ব্লগাররা সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করা থেকে নিজেরাই নিজ উদ্যোগে বিরত থেকেছে। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
আরও সংবাদ
[১]সরকার ধৈর্য্য ধরলেও সন্ত্রাসীরা দেশের অনেক জায়গায় তাণ্ডব চালিয়েছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
[১]রাজধানীর মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগের জমায়েত
[১]আন্দোলনকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে এনায়েতপুর থানায় হামলা চালায় [২]সারাদেশে পুলিশের অনেক স্থাপনা আক্রান্ত
[১]সুশাসন নিশ্চিতে রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজানোসহ ১১ দফা দাবি টিআইবি’র
[১]ড. ইউনূসকে ৬৬৬ কোটি টাকা কর পরিশোধ করতে হবে: হাইকোর্ট
[১]রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসসহ নৈরাজ্যকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান: ইকবাল সোবহান চৌধুরী
[১]সরকার ধৈর্য্য ধরলেও সন্ত্রাসীরা দেশের অনেক জায়গায় তাণ্ডব চালিয়েছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
[১]রাজধানীর মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগের জমায়েত
[১]আন্দোলনকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে এনায়েতপুর থানায় হামলা চালায় [২]সারাদেশে পুলিশের অনেক স্থাপনা আক্রান্ত
[১]সুশাসন নিশ্চিতে রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজানোসহ ১১ দফা দাবি টিআইবি’র
[১]ড. ইউনূসকে ৬৬৬ কোটি টাকা কর পরিশোধ করতে হবে: হাইকোর্ট